Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

বান্দরবানে পর্যটক টানতে ছাড়ের ঘোষণা

 

বান্দরবানে পর্যটক টানতে ছাড়ের ঘোষণা  

বান্দরবানের আবাসিক হোটেলে ৩৫ শতাংশ, রিসোর্টে ২৫ শতাংশ, রেস্টুরেন্টে ১০ শতাংশ এবং রিজার্ভ ট্যুরিস্ট পরিবহনগুলোতে ২০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছাড় ৭ নভেম্বর থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত থাকবে।





বান্দরবানের একটি রিসোর্টের জানালা থেকে পাহাড় ও খোলা আকাশের দৃশ্য। ছবি: মেঘবাড়ি রিসোর্টের ফেসুবক পেইজ থেকে নেওয়া। 

 

বান্দরবান সদর, আলীকদম, লামা এবং নাইক্ষ্যংছড়ি চারটি উপজেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পর্যটকদের জন্য আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া ৩৫ শতাংশসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে ছাড়ের ঘোষণা করেছে বান্দরবান পর্যটন ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে শহরে গ্র্যান্ডভ্যালী হোটেল সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন তারা। 


আজ সকালে বান্দরবান শহরে গ্রান্ডভ্যালী হোটেলের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবি: টিবিএস। 

সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন পর বান্দরবান পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ায় আবাসিক হোটেলে ৩৫ শতাংশ, রিসোর্টে ২৫ শতাংশ, রেস্টুরেন্টে ১০ শতাংশ এবং রিজার্ভ ট্যুরিস্ট পরিবহনগুলোতে ২০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছাড় ৭ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত থাকবে। বান্দরবানে আসা পর্যটকরা নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলাচল, প্রান্তিক লেকসহ লামা, আলীকদমের দর্শনীয় স্থানগুলো স্বাচ্ছন্দ্যে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন। 

তাছাড়া রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোও পর্যটকদের জন্য দ্রুত উন্মুক্ত করে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, উপদেষ্টা মফিজুল ইসলাম মামুন, জীপ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলম, বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপত্তার ইস্যুতে 'অনিবার্য কারণ' দেখিয়ে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে স্থানীয় প্রশাসন। 

এ বিধিনিষেধ ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বলবৎ ছিল। ৭ অক্টোবর থেকে ভ্রমণ নিরুৎসাহিতকরণ প্রত্যাহার করে নেয় জেলা প্রশাসন।